ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম
ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার সেরা কয়েকটি উপায় নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করার জন্য অনলাইন-অফলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি হয়েছে। ছাত্র অবস্থায় ইনকাম শুরু করা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
বর্তমানে পড়াশোনা করার জন্য খরচের পরিমাণটা বেড়েই চলেছে। তাই অনেকে ছাত্র অবস্থায় টাকা ইনকাম করতে চায়। কিভাবে ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন? সেই বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্ট। বর্তমানে সমাজে বেকার থাকা সবার কাছে একটা অপছন্দের ব্যাপার।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম
- ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম
- ছাত্র অবস্থায় টিউশনি করে ইনকাম
- ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন
- ফেসবুক থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
- ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
- ছাত্র অবস্থায় কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
- ছাত্র অবস্থায় ব্লগিং করে ইনকাম করুন
- ছাত্র অবস্থায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
- ছাত্র অবস্থায় প্রতিদিন টাকা ইনকাম করুন সহজেই
- ছাত্র অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে গেম খেলে ইনকাম
- ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম-শেষ কথা
ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম
ছাত্রদের ইনকামের জন্য বর্তমানে অনেক রকম মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। বেকার জীবন কারো কাছেই পছন্দের না। আপনি চাইলে ছাত্র অবস্থাতেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অফলাইনের মাধ্যমে কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি ইনকাম করা যায় তাহলে তো এর থেকে ভালো আর কিছুই হয় না। অনেকেই আছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। তারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ এবং হাত খরচ চালানোর পরে, ফ্যামিলিতেও খরচ দিতে পারছে।
আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আবার আপনার কাছে যদি ছোটখাটো ব্যবসা করার মতো পুঁজি থাকে তাহলে অফলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি অনলাইন বিষয়ে খুব ধারণা না থাকে, তাহলে আপনি অফলাইনে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করতে পারবেন। ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজন। আপনি ধৈর্য এবং পরিশ্রমের সাথে কাজ করলে ছাত্র অবস্থায় মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন
ছাত্র অবস্থায় টিউশনি করে ইনকাম
বর্তমানে ইউনিভার্সিটির বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের ইনকামের একমাত্র
ভরসা টিউশন। তারা ছাত্র অবস্থায় টিউশন করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করে
থাকে। আবার কেউ কেউ কোচিং সেন্টার খুলে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে
থাকে। কিন্তু একটু গ্রাম পর্যায়ে হলে ভালো টিউশন পাওয়াটা একটু কষ্টকর। বর্তমানে
ঘরে ঘরে টিউটর তৈরি হচ্ছে যার ফলে শহরে থেকেও টিউশন নিতে হতাশায় ভুগতে
হচ্ছে। বর্তমানে অভিভাবকরাও সচেতন হচ্ছেন। কেননা অভিভাবকরা যেমন টিউটার চাচ্ছেন
ঠিক তেমন টা পাচ্ছেন না।
আবার স্থানগত দূরত্বের কারণে ছাত্ররা সঠিক টিউটর বা কোচিং সেন্টার পাচ্ছে
না, আবার তেমনভাবে টিউটররা প্রয়োজন মতো ছাত্র পাচ্ছে না। এই ধরনের সমস্যার
সমাধান হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে টিউশন করানো। বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোচিং করা বা প্রাইভেট পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। কারণ, কম
টাকার বিনিময়ে কাঙ্খিত টিউটর পাচ্ছে তাও আবার ঘরে বসে। এই সুযোগ কাজে লাগে
নিজের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি অফলাইনে পর্যাপ্ত টিউশন না পান,
অথবা অফলাইনে পড়াতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিংবা জায়গার সমস্যা হচ্ছে।
তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনি দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে টিউশনি করাতে পারবেন। একসাথে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে টিউশনি করাতে পারবেন। এর ফলে আপনার ইনকামের সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আপনি খুব সহজেই মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি টিউশনি করানোর জন্য আপনার ফেসবুক পেজে আপনার দক্ষতা বিষয়ে ভিডিও প্রকাশ করবেন।
ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিবেন। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে। বলে আপনার কাছে টিউশনি করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। আপনার ভিডিও দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা যত সহজ ভাবে বুঝতে পারবে, ততই আপনার জন্য ভালো। কারণ, যত ভালোভাবে পড়াতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রী তত বেশি হবে। এভাবেই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি করে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ছাত্র অবস্থায় টিউশন করে ইনকাম করতে পারবেন।
ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করুন
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে পরিচিত নন এমন কোনো ব্যক্তি নেই। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন ইনকামের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অফিসে যেতে হয় না বাসায় বসে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি কোনো রকম চাকরি ছাড়াই টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বর্তমানে গোটা বিশ্বেই ফ্রিল্যান্সিং প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা পেয়েছে যার ফলে এর চাহিদা রীতিমতো আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছে।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান, ধারণা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয়ের উপর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে বিভিন্ন রকমের কাজ অথবা প্রজেক্ট দিবে। সেগুলো যদি আপনার আওতার মধ্যে হয় তাহলে আপনি সে কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই কাজগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-ডিজাইনিং, কনটেন্ট রাইটিং, ডেভলপিং, ডাটা এন্ট্রি, সেলিং সার্ভিস এগুলা সহ আরো অনেক রকমের কাজ রয়েছে। এখানে আপনাকে কোনো নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করতে হবে না।
আপনি আপনার সুবিধা মত ঘন্টা/দিন/সপ্তাহ অথবা মাস হিসেবে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে ক্লাইন্টকে দেওয়ার সময় মতো কাজটি তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। বর্তমানে মানুষ কোনো ব্যক্তির অধীনে অথবা কোনো কোম্পানিতে কাজ না করে, মুক্ত এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। সেজন্য বর্তমানে অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ কাজে অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়। যার ফলে মানুষ কাজগুলো ঘরে বসে করতে পারে। পরিশ্রমও কম হয় এবং কাজও বেশি করা যায় ফলে ইনকাম বেশি হয়।
ফ্রিল্যান্সিং করে কি আয় করা সম্ভব? আসলে একটি নির্ভর করছে পুরো আপনার নিজের উপর। আপনি আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি আপনার দক্ষতা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে এখান থেকে সহজে ইনকাম করতে পারবেন। কোনো মাসে বিশ হাজার আমার কোনো মাসে দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে আপনার দক্ষতা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে,সঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি সফলতার দেখা পাবেন এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।
আপনি চাইলে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ অথবা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তবে মোবাইল দিয়ে শুরু করলে কাজের পরিমাণ একটু কম হয়ে যাবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় যার ফলে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার হলে সবচেয়ে ভালো হয়। এরপরে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। কারণ আপনাকে কাজ খোঁজা থেকে ক্লাইন্টকে কাজ জমা দেওয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই আপনার ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকামের জন্য নতুন প্রজেক্ট বা কাজের দরকার হবে।
ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেওয়ার জন্য আগে আপনার বিষয়ে যে জানতে চাইবে। তার জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে। ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস ইত্যাদি জায়গা গুলোতে আপনার সম্পর্কে প্রচার করতে হবে। কারন আপনাকে বুঝাতে হবে যে আপনি কোন কোন বিষয়ে এক্সপার্ট। তাহলে ক্লায়েন্টের যেই বিষয়ে কাজ প্রয়োজন হবে। আপনার দক্ষতা দেখে সেই বিষয়ে আপনি পারদর্শী হলে আপনাকে কাজটি দিবে। একটি ভালোভাবে সম্পূর্ণ করে জমা দিতে পারলে ক্লায়েন্টদের থেকে খুব সহজেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে আপনার লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। আপনি কোন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বা করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। আপনি যে বিষয়গুলোর বেছে নিবেন সেইগুলো সম্পর্কে আপনাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা লাগবে। আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো মার্কেটপ্লেস কিরকম চাহিদা সে সম্পর্কেও জানতে হবে। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী হবেন সেই বিষয়টা বেছে নিবেন, যাতে করে ভালোভাবে কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে পারেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজটি করতে পারেন। কোন বিষয়ে কেমন ইনকাম সবকিছুই জানতে হবে।
এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে, আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যদি আপনি একবার সবকিছু বুঝে কাজ করতে পারেন, তাহলে সেখান থেকে পরবর্তীতে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন, ওয়েব সাইট বিক্রি করতে পারেন, কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন ইত্যাদি কাজগুলো করে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তাই দেরি না করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন এবং ঘরে বসে আপনার ইনকামের রাস্তা তৈরি করুন।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র অবস্থায় টিউশনি করে ইনকাম
ফেসবুক থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা টাকা ইনকামের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রয় করা এবং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফেসবুকে ইনকাম করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে একটি পেজের কোনো পোষ্টের গড় রিচ প্রায় পাঁচ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ সালে ও সাত শতাংশ ছিল। কিন্তু যারা বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন, সময়ের সাথে সাথে তাদের কিছু হ্রাস পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকামের জন্য নতুন এবং সুন্দর কিছু উপায় তৈরি হয়েছে। যেমন-
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনঃ আপনার ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশনের যোগ্যতা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজে যখন কনটেন্ট পোস্ট করবেন, তখন অবশ্যই প্লাটফর্মের শর্তগুলো মেনে পোস্ট করবেন। যেমন-
ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডঃ এটা হচ্ছে প্লাটফর্মের মৌলিক নিয়ম। কোনো বীভৎস অথবা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত কোনো পোস্ট করা যাবে না।
পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসিঃ এই সমস্ত নিয়ম গুলো আপনার পেজের জন্য। আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কিভাবে তৈরি করছেন এবং কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছেন এগুলো সম্পর্কে। আবার আপনি কিভাবে অর্থ আদান-প্রদান করছেন সেই বিষয়ে।
কনন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসিঃ এগুলো হচ্ছে বিশেষ করে কনটেন্ট সম্পর্কিত নিয়ম। যেটি আপনার প্রতিটি পোস্ট করা কনটেন্ট এর জন্য। কোনো হিংসাত্মক অথবা অনিরাপদ কনটেন্ট আপলোড না দেওয়া।
এরপরে আপনি আপনার মনিটাইজেশন যোগ্যতা যাচাই করে নিবেন। একবার যদি আপনি ফেসবুক কনটেন্টে মনিটাইজেশন পেয়ে যান। তারপরে আপনার ইনকাম নিয়মিত বজায় রাখতে সেই নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে এবং সে যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে। তাহলে আপনি এখানে টিকে থাকতে পারবেন এবং খুব সহজে কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে নিয়ম নীতি মেনে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনার ইনকামের একটি সহজ এবং সুন্দর মাধ্যম তৈরি হবে।
ফলোয়ারদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা ইনকামঃ ফেসবুকে সম্পত্তি এটি তাদের প্ল্যাটফর্মের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ভিডিও কনটেক্ট এর উপর গুরুত্ব দেবে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে শুধু টিকটক পোস্ট শেয়ার না করে। ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় যেমন- রিলস তৈরি করে একটি নির্দিষ্ট ভিউয়ার্স তৈরি করতে হবে।নির্দিষ্ট ভিউয়ার্স পূরণ হলে মাসে ৪০০০ মার্কিন ডলার ইনকাম করতে পারবেন। চ্যানেলটি অবশ্যই ৩০দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। না হলে ফিচারটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
অনলাইনে পেইড ইভেন্টঃ আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পেজে টাকার বিনিময়ে ইভেন্ট পরিচালনা করতে পারেন। ফেসবুক পেজে ইভেন্টের ফিচারটি আপনি আপনার পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময় তৈরি করে, সেটি পরিচালনা করতে পারবেন।
ফেসবুকে স্টোর তৈরি করে ইনকামঃ ফেসবুকে সোশ্যাল কমার্স ফিচারটির মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে ক্রেতাদের সরাসরি আপনার স্টোরে নিয়ে যেতে পারেন। বর্তমানে যেসব ব্র্যান্ডের ফেসবুকে একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায়। যার মাধ্যমে স্ক্রল করে ঘুরে বেড়ানো ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহ করাতে পারেন।
মনে রাখবেন- ফেসবুকের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৯০ কোটি। ইনস্টাগ্রামে ১৩০ কোটি, টিকটকে ১০০ কোটি এবং টুইটারে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ। অর্থাৎ অন্যান্য সকল প্লাটফর্মের তুলনায় ফেসবুকে ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর প্লাটফর্ম থেকে ইনকামের পদ্ধতি কঠিন হলেও অসম্ভব কিছুই না।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন খুব সহজেই
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল অবশ্যই ৪০০০ ঘণ্টা ভিউ কাটতে হবে।
- এই দুটি শর্ত এক বছরের মধ্যেই পূরণ করতে হবে।
- এর পাশাপাশি তিন মাসেই ইউটিউব শর্ট ভিডিওতে ১০ লাখ ভিউ থাকতে হবে।
- আপনার চ্যানেলে কোনো ধরনের কপিরাইট বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড থাকা যাবে না।
- ইউটিউব এর কোনো নিয়ম-নীতি ভাঙ্গা যাবে না।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
ছাত্র অবস্থায় কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করুন
ছাত্র অবস্থায় ব্লগিং করে ইনকাম করুন
ছাত্র অবস্থায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
ছাত্র অবস্থায় প্রতিদিন টাকা ইনকাম করুন সহজেই
- ইভেন ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে
- গেমিং ভিডিও তৈরি করে
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে
- অনলাইন ব্যবসা করে
- সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে
- ফেসবুক ব্লগিং করে
- ফেসবুক রিল তৈরি করে
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে
- ওয়েবসাইট তৈরি করে
- আর্টিকেল রাইটিং করে
- ইনস্টাগ্রাম এ ভিডিও মার্কেটিং করে
- ফটোগ্রাফার হিসেবে
আপনি দুর্দান্ত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url